সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

ভারতের হরিয়ানার নুহতে সম্প্রতি ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। বাড়ি, দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়। তারপর সেখানে পৌঁছে গেছিল প্রশাসনের বুলডোজার। সেই বুলডোজার দিয়ে হোটেল ভাঙা হয়েছে। সাড়ে তিনশর মতো ঝুপড়ি ভাঙা হয়েছে। ৫০টির মতো পাকা বাড়িও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে।

শেষপর্যন্ত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙা বন্ধ করতে হবে। ডেপুটি কমিশনার ধীরেন্দ্র খাড়গাতা জানিয়েছেন, ‘আদালতের নির্দেশের পরই বাড়ি ভাঙা বন্ধ রাখা হয়েছে। ‘

বিরোধী রাজনীতিকদের দাবি, প্রশাসন শুধুমাত্র মুসলিমদের বাড়িই ভেঙা হয়েছে। আর যাদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে.তারা দাবি করেছেন, কোনোরকম নোটিশ না দিয়েই বাড়ি ভাঙা হয়েছে।

প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যেগুলি বেআইনি নির্মাণ সেগুলিই ভাঙা হয়েছে। কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করা হয়নি। খাড়গাতা বলেছেন, ‘আমাদের একটাই লক্ষ্য, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।’

এর আগে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে সহিংসতার পর এভাবেই বাড়ি ভাঙা হয়েছে। দিল্লিতেও হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা বন্ধ হয়েছিল। এখন হরিয়ানাতে সেই একই ঘটনা ঘটলো।

কংগ্রেস বিধায়ক আফতাব আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা সরকারের কাছ থেকে জানতে চাই, তারা কি কাউকে দোষী সাব্যস্ত করেছে? কোন আইনে তারা এই কাজ করছে? কী করে তারা এভাবে বুলডোজার ব্যবহার করছে? ধর্মস্থান জ্বালানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন?’

এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেছেন, ‘একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। হরিয়ানায় খাট্টার সরকার তো বিচারবিভাগের ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছে।’

হরিয়ানার মন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন, ‘পরিকল্পনামাফিক সহিংসতা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *