ভারতের ওড়িশার বালাসোরে যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮০ জন। এ ঘটনায় আহত আছেন অন্তত ৯০০ জন।
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশি আছে কিনা, সেটা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন। তবে তিনজন আহত হওয়ার খবর জানা গেছে।তাদের একজনের বাড়ি রাজশাহী এবং অন্যজনের বগুড়ায়।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘কোনও বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর এখনও আমরা পাইনি। আমাদের কাছে তিনজন আহত হওয়ার খবর আছে। এছাড়া চারজন আমাদের কাছে ফোন করে জানিয়েছেন, তাদের নিকটাত্মীয় ওই ট্রেনে ছিলেন। তাদের কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তাদের এখনও নিখোঁজ হিসেবে বিবেচিত করছি। আমাদের একটি দল ইতিমধ্যে রওনা হয়ে গেছে। আজ দিনশেষে আমি একটি বিস্তারিত রিপোর্ট পাবো।’
এদিকে ঘটনাটি কভার করা স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, তারা শুনেছেন যে- দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুই বাংলাদেশী নাগরিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে, তারা তাদের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারেননি।
একজন স্থানীয় সংবাদদাতা জানান, তারা শুনেছেন যে- দুই বাংলাদেশী নাগরিকের অবস্থা গুরুতর। তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম। তবে, তারা বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেননি।
নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতার ডেপুটি মিশন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আহত বাংলাদেশীদের বিস্তারিত জানার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের কর্মকর্তা আজ নিশ্চিত করেছেন যে উভয় বাংলাদেশী কলকাতার কাছে শালিমার স্টেশন থেকে ‘করমন্ডল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চেন্নাই যাচ্ছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। মোদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সঙ্গে নিয়ে বালেশ্বর যাচ্ছেন৷ মমতাও বালেশ্বর যাচ্ছেন৷ ট্রেনের উৎস ও গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গ হওয়ায় এই রাজ্যের বহু যাত্রী ছিলেন৷ অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনের খোঁজ পাচ্ছেন না৷
দেশটির রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দুর্ঘটনাস্থলে যান৷ উচ্চপর্যায়ের তদন্তের কথা বলেছেন তিনি৷ মৃতদের পরিবারপিছু ১০ লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী। গুরুতর আহতদের দুই লাখ, কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে