ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে আজ। দীর্ঘ এক দশক পর প্রথমবারের মতো নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন কাশ্মিরিরা।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই উপত্যকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার পর জম্মু-কাশ্মিরে এটিই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মিরের সমতল থেকে পাহাড়ি এলাকা।
প্রথম দফার নির্বাচনে কাশ্মিরের ১৬টি এবং জম্মুর আটটি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, জম্মু ও কাশ্মিরে ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বুধবার প্রথম দফায় ২৪টিতে আসনে ভোট হচ্ছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, বিজেপি, কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্রসহ সবমিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা ৯০৯ জন।
প্রথম পর্বের নির্বাচনে দক্ষিণ কাশ্মিরের চার জেলা— পুলওয়ামা, কুলগাম, অনন্তনাগ ও শোপিয়ানের ১৬টি এবং জম্মুর তিন জেলা— ডোডা, কিস্তওয়ার ও রামবনের আটটি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
মূলত এক দশক পরে জম্মু ও কাশ্মিরে আবারও বিধানসভা ভোট হচ্ছে। তবে ২০১৪ সালের মতো পূর্ণ রাজ্য হিসেবে নয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে বিশেষ মর্যাদা হারানোর পাশাপাশি রাজ্যের তকমাও হারিয়েছে জম্মু ও কাশ্মির।
ক্ষমতাসীন বিজেপি বরাবরই বিরোধীদের সমালোচনা করে বলেছে, যতই চেষ্টা করা হোক, ৩৭০ ধারা আর কোনও দিন ফেরানো যাবে না।
প্রসঙ্গত, এবার কাশ্মিরে তিন দফায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বুধবার প্রথম দফায় ২৪টিতে আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ২৬ আসনে এবং এরপর আগামী ১ অক্টোবর তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৪০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে জম্মু ও কাশ্মিরে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রথম দফার ভোটে ২৩ লাখের বেশি মানুষ ভোট দেবেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম দফায় ভোট দিতে পারবেন কাশ্মির উপত্যকা থেকে “বিতাড়িত প্রায় ৩৩ হাজার কাশ্মিরি পণ্ডিতও”।
বুধবারের ভোটে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২১৯ জন প্রার্থীর, তাদের মধ্যে ৯০ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী। জম্মু-কাশ্মির বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়ছে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স। যদিও প্রথম দফার নির্বাচনে বানিহাল, ডোডা এবং ভদেরওয়াহ কেন্দ্রে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হচ্ছে দুই
দলের মধ্যে।