নভেম্বর ৮, ২০২৪

পর্যটক (টুরিস্ট) ভিসায় ভারতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভে কথা বলার অভিযোগে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের এক যুবকের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বুড়িমারি স্থলবন্দরের অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) উপসহকারী পরিদর্শক আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওই যুবকের নাম আলমগীর শেখ (৩৫)। তিনি পাটগ্রাম পৌর সভার জুম্মাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নুরু মোহাম্মদ শেখের ছেলে। তার ভিসা বাতিল করে গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর অভিবাসন পুলিশ বাংলাদেশে পাঠায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পর তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ভারত সরকার। পরে ভিসা বাতিল করে গতকাল রাতে চ্যাংড়াবান্দা চেকপোস্ট দিয়ে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আর কোনো দিন আলমগীর ভারতে যেতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির একাধিক গণমাধ্যম

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের চ্যাংড়াবান্দা ইমিগ্রেশনে আলমগীরকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল, তখন তার ভ্রমণ সঙ্গীরা কোনো বাধা ছাড়াই বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি তারা বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানান। এ অবস্থায় বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ চ্যাংড়াবান্দা ইমিগ্রেশন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আলমগীরকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভারতীয় ভিসা বাতিল করে আলমগীরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ৩ সেপ্টেম্বর আলমগীর ইসলাম ভারতে বেড়াতে যান। মূলত চিকিৎসা ভিসা ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ভারতে অবস্থান করেই দেশটির বিরুদ্ধে লাইভসহ একাধিক পোস্ট করেন আলমগীর। বিষয়টি ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নজরে এলে তাকে আটক করা হয়।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই বিষয়ে আজ ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভারত নিয়ে আলমগীর ইসলামের বেশির ভাগ পোস্ট ছিল বিদ্বেষ ও উসকানিমূলক। পোস্টগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেলে আলমগীরকে চিহ্নিত করে মুর্শিদাবাদ থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পর তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ভারত সরকার। পরে তার ভিসা বাতিল করে গতকাল রাতে চ্যাংড়াবান্দা চেকপোস্ট দিয়ে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আর কোনো দিন আলমগীর ভারতে যেতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ ব্যাপারে আলমগীর ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফেসবুক পোস্ট ও লাইভের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। আলমগীর বলেন, তাকে ভারতীয় পুলিশ আটক করে পাসপোর্ট নিয়ে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব সরকার বলেন, ‘গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে চ্যাংড়াবান্দা ইমিগ্রেশন পুলিশ আলমগীরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর ভিসা বাতিল করে। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...