ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

চার দিনের ব্যবধানে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা থেকে ৪ জাহাজে আমদানি হয়েছে ৫২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। এই অপরশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করেছে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ও টিকে গ্রুপ। এর মধ্যে টিকে গ্রুপের ২৫হাজার টন, সিটি গ্রুপের ২০ হাজার টন ও মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ হাজার টন সয়াবিন তেল রয়েছে।

এসব অপরশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি হওয়ায় বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের যে সাময়িক সংকট চলছে তা কেটে যাবে। সয়াবিনের দাম সমন্বয় করায় রোজার আগে আমদানি আরও বাড়বে আশা সংশ্লিষ্টদের।

চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী,শনিবার এমটি আরডমোর শায়ানি ও এমটি ডাম্বলডোর নামে দুই জাহাজে বন্দরে আনা হয়েছে ২১ হাজার ৫০০ টন অপরশোধিত সয়াবিন তেল। মঙ্গলবার বন্দর জলসীমায় পৌঁছেছে এমটি সানি ভিক্টরি ও এমটি জিঙ্গা থ্রেশার নামের আরও দুটি জাহাজ। এই দুই জাহাজে আছে ৩০ হাজার ৬০০ টন সয়াবিন তেল। এর মধ্যে এমটি আরডমোর শায়ানি জাহাজ থেকে তেল খালাস শেষ হয়েছে। সোমবারই জাহাজটি বন্দর ছেড়েছে। জাহাজগুলোর মধ্যে সানি ভিক্টরি ব্রাজিল থেকে এবং বাকি তিনটি এসেছে আর্জেন্টিনা থেকে ।

আমদানি হওয়া এসব সয়াবিন তেল জাহাজ থেকে খালাসের পর রাখা হবে কাস্টমস নিয়ন্ত্রিত ট্যাংক টার্মিনালে। সেখান থেকে শুল্ক–কর পরিশোধ করে কারখানায় পরিশোধনের জন্য নিয়ে যাবে কোম্পানিগুলো। এরপর পরিশোধন করে বাজারজাত হবে এই সয়াবিন তেল। তাতে এক–দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

এসব সয়াবিন আমদানির জন্য অনেক আগেই ঋণপত্র খোলা হয়েছিল। চারটি জাহাজই ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার বন্দরগুলো থেকে এক মাস আগেই রওনা হয় চট্টগ্রামের উদ্দেশে।দেশে মূল্য সমন্বয়ের কারণে আমদানি সামনে বাড়বে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...