ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি নগদ উত্তোলন করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক পাঁচ লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও যেকোনও পরিমাণ টাকা আরেক হিসাবে স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা গেছে। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে নগদ সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা তোলার সুযোগ ছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগদ উত্তোলনের সুযোগে আরও ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে নতুন সীমা ঠিক করে দেয় আর্থিক খাতের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থাটি।
ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক লুটপাট, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থবৈভবের মালিকরা যেন টাকা পাচার করতে না পারে এ জন্য সতর্ক করতে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।