ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফর নিয়ে কিছু ভুল ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন দুটি অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর এসব প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি)।
সোমবার (২০ মে) এবিবি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে একটি ব্যাখ্যা পাঠিয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিজ (ডিওজে), অফিস অব প্রসিকিউটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট, ট্রেইনিং অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ওপিডিএটি) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকে। তারা ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে ২০ থেকে ২৩ মে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বার্ষিক ইউ.এস.-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক ব্যাংকিং সংলাপ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ২৬টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই ব্যাংকিং সংলাপের উদ্দেশ্য হল বিএফআইইউ এবং তার তত্ত্বাবধানে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্ত:সম্পর্ককে শক্তিশালী করা। পাশাপাশি অর্থ পাচার প্রতিরোধ (এএমএল) এবং সন্ত্রাসবাদ অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি), স্যাংকশনপ্রাপ্ত দেশ ও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত কানুন প্রভৃতি বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা।
আরও বলা হয়, আগের বছরগুলোতে এই ব্যাংকিং সংলাপটি নিউইয়র্ক, লন্ডন, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক ও আমেরিকার শার্লটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিজ (ডিওজে)-এর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এই সংলাপে যোগ দেওয়া এবং এটি থেকে পাওয়া নিয়ম পালন পৃথিবীর নানা দেশের ব্যাংকগুলো জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এ বছরের সংলাপে ডিওজে-এর মানি লন্ডারিং এবং অ্যাসেট রিকভারি সেকশন (এমএলএআরএস), মার্কিন ট্রেজারি’র ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমস এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক (ফিনসেন) এবং মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের ব্যাংক এমডিদের সামনে তাদের বিভিন্ন উপস্থাপনা পেশ করবেন।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটি এবং এএমএল বা সিএফটি কার্যক্রম সম্পর্কে জানার জন্য একটি ‘ফিল্ড ট্রিপ’ থাকবে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে ডিওজে-র এই প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পরে চারটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ, যথা অগ্রণী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক, নিউইয়র্কে অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট প্রোডাক্টগুলোর প্রসারের উদ্দেশ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন।
নিউ ইয়র্ক শহরে অনুষ্ঠিত চারটি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ডলার ডিপোজিট আহরণের এই মার্কেটিং প্রোগ্রাম বা আউটরিচ প্রোগ্রামটির সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসির মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের ব্যাংকিং সংলাপটির কোনো সম্পর্ক নেই।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ আরও বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এই অফশোর ব্যাংক ডিপোজিট প্রোডাক্টগুলি চালু করেছে। ৩৫০ জনের মতো অতিথি নিয়ে নিউ ইয়র্ক শহরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে ডিনারসহ অনুষ্ঠিত চার ব্যাংকের এই অনুষ্ঠানের মোট খরচটিকে কোনো কোনো মিডিয়া ওয়াশিংটন ডিসিতে ২৬ ব্যাংক এমডির প্রত্যেকের পেছনে ব্যয় করা খরচ হিসেবে দেখিয়ে সকলকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস নিচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।