সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

ব্যাংক থেকে প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। যারা পাচার করেছে তাদের কিছু সম্পদ দেশে আছে। দেশ এবং বিদেশ দুই চ্যানেলে যেভাবেই হোক সম্পদগুলো পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করব। ইতিমধ্যেই এসেট রিকভারি ইনস্টিটিউশন গঠনের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন আমাদের প্রধান কাজ ব্যাংকটিকে স্থিতিশীল করা। পরবর্তী কাজ হবে ওয়ে আউট বের করা। ব্যাংকিং কমিশন গঠন হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে প্রত্যেকটা দুর্বল ব্যাংককে খতিয়ে দেখা হবে। এর পর ফিট এন্ড প্রপার টেস্টের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো ব্যক্তি মালিকানায় ফেরত দেওয়া হবে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে তো সরাসরি যেতে পারি না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে তাদের সহযোগীতা করা হবে। এখন অনেক ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভবিষ্যতে ফসল ফলানোর জন্য সারের প্রয়োজন হবে। ডলারের অভাবে সরকারের সার আনতে সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা বাজার থেকে ডলার কিনে বিএডিসিকে সাপোর্ট দিচ্ছি। যাতে সার আমদানি করে পর্যাপ্ত সার মজুদ করা যায়। এবং পরবর্তী মৌসুমে সারের সংকট না দেখা দেয়।

সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের আটকে দাবি আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো দায়িত্ব সরকার ও নাগরিকের উভয়েরই। কাউকে ব্ল্যাকমেইল করে দাবি আদায় করাটা ঠিক না। তবে যাদের যৌক্তি দাবি আছে তাদের বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে ব্যাংকের দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে জাচাই-বাছাই করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ব্যাংকের পর্ষদ গঠনে যোগ্য লোকের অভাব রয়েছে বলেই আস্তে আস্তে পর্ষদ ভাঙা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন গভর্নর। সৎ, পেশাদার ও অভিজ্ঞ লোকদের দিয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের চেষ্টা করছি। লোকসংকট বলেই আমরা প্রথমে বেশি লোক দিচ্ছি না। পাচ থেকে ছয়জন দিয়েই বোর্ড গঠন করছি।

এর আগে গত বুধবার ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এই ব্যাংকে পাঁচজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্য থেকে নতুন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে। তিনি ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক এবং ২০১‍৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রূপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *