গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি ছাড়াও বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে ছিলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালক জালাল ইউনুস।
বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় বলেছেন- বোর্ডের দুই পরিচালক থাকায় তারা নাকি ড্রেসিংরুমে স্বস্তি-বোধ করেননি।
এমন অভিযোগ নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, আমি সত্যিই জানি না আমার কি ভূমিকা ছিলো। অভিভাবক হিসেবে দলের সঙ্গে থাকা এটা আগেও বাংলাদেশে হয়েছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলে এমন ফিগার দরকার নেই। খেলোয়াড়রা শৃঙ্খালপরায়ণ, নিজেদের সম্পর্কে জানে। হয়ত বোর্ড এখনো অনুভব করে ফাদার ফিগার দরকার কিন্তু আমি না। একটা তদন্তে এসেছে দুজন পরিচালক হস্তক্ষেপ করেছেন। আমি জানি না এর মানে কি। হয়ত অনেক খেলোয়াড় অভিযোগ করেছে যখন তারা (দুজন পরিচালক) ড্রেসিংরুমে ছিলো তারা স্বস্তি-বোধ করেনি। আমি জানতে চাই কোন খেলোয়াড় এটা বলেছে। আমি মনে করি না কোন জায়গায় আমি খবরদারি করি।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে আমি অনেক সিনিয়র। আমি তাদের সঙ্গে খুবই বন্ধুত্বপরায়ন। যদি আমি থাকায় সমস্যা হয় ড্রেসিংরুমে তাহলে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সমস্যা। হয়ত আমার কোন আচরণ তাদের কাছে খারাপ লেগেছে। কিন্তু আমার জানা মতে আমি কোন খেলোয়াড়কে আঘাত করিনি। গত দুটি বিশ্বকাপে আমার ভূমিকা সীমাবদ্ধ ছিলো। খেলা দেখা ছাড়া আমার কোন কাজ ছিলো না।
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার তদন্ত প্রতিবেদনে দুইজন পরিচালকের নাম এসেছে? এব্যাপারে দেশের একটি জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টালকে সুজন বলেন, আপনি যদি সব বিবেচনা করে থাকেন তাহলে এটা আমি ও জালাল ভাই হবো। এই সফরে আমি টিম ডিরেক্টর ছিলাম এবং জালাল ভাই অনেক ম্যাচে ছিলেন। আর কোন পরিচালক দলের সঙ্গে এত ঘন ঘন ছিলেন না। আমার কোন মন্তব্য নাই। নাজমুল হাসান পাপন ভাই পরিষ্কারভাবে বলেছেন- এটা ভুয়া রিপোর্ট। আমাদের নাম তদন্তে মেনশন করা হয়নি।