দেশের ব্যাংক খাতে ব্যাপকহারে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। একইসঙ্গে অর্থঋণ আদালতের মামলাও বেড়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে অর্থঋণ আদালতে ৭২ হাজার ১৮৯টি বিচারাধীন মামলার বিপরীতে আটকে আছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের ব্যাংকের বিচারাধীন মামলা ৪৩ হাজার ১৫৩টি। এর ফলে ব্যাংকগুলোর ৮৮ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা আটকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে ব্যাংক খাতের এসব চিত্র উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন শেষে অর্থঋণ আদালতের মামলা ছিলো ৬৯ হাজার ৩৬৯টি। এর বিপরীতে আটকা পড়েছিলো ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে মামলার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ১৮৯টিতে। এতে ব্যাংক খাতের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা আটকে আছে।
এদিকে ২০২২ সালে অর্থঋণ আদালতে দায়ের করা মামলা বেড়েছে ১৪ হাজার ৪৫২টি। একইসময়ে ব্যাংকের দাবি করা টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৩৫ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। তবে গত বছরের শেষ ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) মামলা বেড়েছে ৮ হাজার ৩৪৪টি। এসময় দাবি করা টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১৯ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল শেষে অর্থঋণ আদালতে বিভিন্ন ব্যাংকের করা মামলার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৩৪৮টি। এর বিপরীতে ব্যাংগুলোর পাওনা টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৪ কোটি। তবে এত টাকা দাবির বিপরীতে ছয় মাসে আদায়ের পরিমাণ মাত্র ২১ হাজার ৮৩ কোটি টাকা।
এদিকে বর্তমানে বেসরকারি ব্যাংকের বিচারাধীন মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কারণ ৪৩ হাজার ১৫৩টি মামলার বিপরীতে ৮৮ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা আটকে আছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৫ হাজার ৬০৪টি। এর বিপরীতে পাওনা টাকার পরিমাণ ৭১ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।