নভেম্বর ১৪, ২০২৪

রাজস্ব ফাঁকি রোধে ব্যাপক কড়াকড়ি ও সংস্কারমূলক নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের রাজস্ব বেড়েছে। এখন এ বন্দরে অসাধু আমদানিকারক নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম-কমিশনার মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০ ধরনের পণ্যের চালান থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়েছিল ১ হাজার ২৫২ কোটি ২১ লাখ টাকা।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একই ধরনের পণ্য থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ হাজার ৬৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আয় বেড়েছে ৪১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

কাস্টমস সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বন্দরের রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৪ হাজার ২১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বেড়েছে এবং রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

এ পর্যন্ত মোট ১০ ধরনের পণ্যের চালান থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ধরা পড়েছে। রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়।

রাজস্ব ফাঁকি রোধে এ বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। অনিয়ম ধরা পড়লে রাজস্ব পরিশোধ করে ২০০ শতাংশ জরিমানা আদায় করা হচ্ছে বলে কাস্টমস সূত্র জানায়।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা বাড়াতে, দ্রুত পণ্য খালাস ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

রাজস্ব ফাঁকিতে অভিযুক্ত আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কালো তালিকাভুক্ত করে তাদের পণ্য চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

রাসায়নিক পণ্য কেমিক্যাল ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফলাফলের ভিত্তিতে শুল্কায়ন করে খালাস করা হচ্ছে। ওজন স্কেল কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান যুগ্ম-কমিশনার মো. হাফিজুল ইসলাম।

বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান কমিশনার আগের তুলনায় ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করায় সুবিধাভোগী আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর ছেড়ে চলে গেছে। অন্যান্য বন্দরেও কড়াকড়ি করতে হবে।’

যোগাযোগ করা হলে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনযোগে কন্টেইনার কার্গো চালু হয়েছে।’

তবে, এ বন্দর দিয়ে আগে প্রতিদিন যেখানে ৫০০-৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো, বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে আমদানি কমে প্রতিদিন ৩৫০ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...