নভেম্বর ২৩, ২০২৪

বৈশ্বিক মন্দা আর ডলার সংকটের কারণে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে না পারায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) স্থলবন্দরটিতে পণ্য আমদানি প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজার টন কমেছে। বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র বলছে, জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৮৩ টন পণ্য আমদানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময় আমদানি হয়েছিল ১৭ লাখ ৫৫৩ টন। সে হিসাবে আমদানি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭০ টন কমেছে।

এদিকে আমদানি কমে যাওয়ার কারণে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। সেখানে আয় হয়েছে ৫ হাজার ২১৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ ১০ মাসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আয় কমেছে ৬৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে না আসায় আমদানিকারকরা আমদানি করতে পারছেন না। দ্রুত সংকট না কাটলে বছর শেষে আমদানির পরিমাণ আরো কমে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির কবলে পড়তে হতে পারে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার ওপর প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আমদানি কমে যাওয়ার কারণে গত কয়েক বছর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না বেনাপোল কাস্টমস।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...