মেঘলা আকাশ কিংবা বৃষ্টির দিনে কাঁঠালের স্বাদ অনেক বেশি উপভোগ করা যায়। তাই ঠান্ডা এ মৌসুমে বাড়িতে কিনে আনতে পারেন জাতীয় ফল কাঁঠাল।
এটি এমন একটি ফল, যে ফলের কোষ, বিচি, খোসা সবই খাওয়া যায়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি এই ফলে লুকিয়ে আছে বিভিন্ন রোগের ওষুধ।
গরমের এ সময়টায়ই এই ফলটি পাকতে শুরু করে। তার বর্ষায় কাঁঠাল হয়ে ওঠে রসালো ও সুমিষ্ঠ। তাই বাড়িতে মুড়ির সঙ্গে কাঁঠাল খাওয়ার সবচেয়ে সেরা সময় হতে পারে মেঘলা আকাশের দিনটি।
১। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে কাঁঠালে। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
২। ফাইবারের ভালো একটি উৎস কাঁঠাল। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয় নিয়মিত কাঁঠাল খেলে।
৩। আলসারের সমস্যা প্রাকৃতিক উপায়ে কমাতে সাহায্য করে কাঁঠালে থাকা এক ধরনের উপকারী উপাদান।
৪। বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস কাঁঠাল। এসব উপাদান হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৫। কাঁঠালে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
৬। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মেলে কাঁঠাল থেকে। নিয়মিত ফলটি খেলে তাই ত্বক ভালো থাকে ও ত্বককে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে রাখা যায়।
৭। অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে কাঁঠাল খেলে। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকা যায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৮। বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস কাঁঠাল। এসব উপাদান হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৯। ক্যানসারের ঝুঁকি কমে কাঁঠাল খেলে। কারণ কাঁঠালে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে।
১০ । শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি।
১১। কাঁঠালে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি হাড় শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।
১২। আয়রন মেলে ফলটি থেকে। এই খনিজ উপাদান রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
কাঁঠালের ১০টি কোষের গুণ একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুলের সমতুল্য। কাঁঠাল ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে করে তোলে আরও মজবুত।