আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সহজ যাতায়াতে ১৭টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরমধ্যে শুধু আখেরি মোনাজাতের দিন চলবে ১৪টি ট্রেন। আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে রেল ভবনে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে রেলওয়ের প্রস্তুতি বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান।
তিনি বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা অভিমুখী সব আন্তনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে ৩ (তিন) মিনিট করে থামবে। আগামী ৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের দিন (সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেস ছাড়া) সব আন্তনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেনগুলো (আপ অ্যান্ড ডাউন) টঙ্গী স্টেশনে তিন মিনিট করে থামবে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক আরও বলেন, ৪ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের দিন ৪৯ নম্বর বলাকা কমিউটার ট্রেন ৪টা ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে ৫টায় ছাড়বে। ৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) ৭৯২/৭৯১ নম্বর বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ থাকবে, তবে ৭৫৪/৭৫৩ নম্বর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন ৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও চলাচল করবে।
‘‘আখেরি মোনাজাতের পরের দিন অর্থাৎ ৫ ও ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখ ইজতেমা থেকে বহির্গামী টিকিটধারী যাত্রীদের ফেরত যাওয়া ও টঙ্গী স্টেশনে আরোহণের সুবিধার্থে আন্তনগর ট্রেনগুলো টঙ্গী স্টেশনে তিন মিনিট থামবে,’’ যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।
এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব (জোবায়ের) অনুষ্ঠিত হবে ২-৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব (সাদ) অনুষ্ঠিত হবে ৯-১১ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠসংলগ্ন বাটা রোডে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সংক্রান্ত সভায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল।
আসন্ন ইজতেমা সফল হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিহাস। এ ইজতেমায় অনেক বিদেশি মুসল্লি আসেন। তাদের জন্য ভিসা প্রসেসিং দ্রুত ও সহজ করতে আমরা কাজ করছি।’
ইজতেমা আয়োজনে দুই দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাবলিগ জামাতের দুটি পক্ষের বিরোধ দুঃখজনক। আপনাদের মনোভাব পরিবর্তন হয়নি। দুই পক্ষ যদি একসঙ্গে খেতে পারতেন, আমরা খুশি হতাম। তাদের মেলানোর দায়িত্বটা ধর্মমন্ত্রীকে দিলাম। তিনি ভবিষ্যতে তাদের মিলিয়ে দিবেন।’