

তুরাগ পাড়ে ২০২৫ সালে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এর প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি থেকে দুই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ধাপে সাত ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহৎ এই ধর্মীয় সমাবেশ। আজ সোমবার তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপকে (জোবায়ের ও সাদ) নিয়ে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার সূচি ও অন্য বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত এক সভায় এই তথ্য জানান তিনি। তবে সভায় জোবায়েরের পক্ষে কেউ আসেন নাই।
সভায় কে, কোন তারিখ পাচ্ছেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হস্তান্তর ও প্রস্তুতি, নিরাপত্তা, বিদেশি অতিথিদের ভিসা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ, ভাসমান ব্রিজ নির্মাণ, জরুরি দুর্যোগে ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ব্যবস্থা, আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনসহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তাবলীগ জামাতের সাদপন্থি কর্মী মুয়াজ বিন নূর সাংবাদিকদের বলেন, জুবায়ের সাহেবের কর্মীরা আসেননি। তারা সরকারকে গুরুত্ব দেয়নি। তারা এখানে না এসে মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের ডাকা দিয়েছেন। তারা রাজপথ থেকে সিদ্ধান্ত চান।
তিনি বলেন, প্রতিবছর বলা হয় পরের বার একবারে ইজতেমা হবে, কিন্তু হয়নি। এবারও তাই হচ্ছে। গত কয়েক বছর সাদ সাহেবকে ভিসা দেওয়া হয়নি। এবারও যদি তাকে ভিসা না দেওয়া হয়, তবে আদায় করতে যা করতে হয়,তা-ই করা হবে। এবার কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা। আমরা কোনো বৈষম্য চাইনা।
এ নিয়ে আলোচনায় বসতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। সরকার ব্যর্থ হলে আমরা যা করার, তা-ই করবো।
সাদপন্থিরা প্রথম দফায় ইজতেমা করতে চায় দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সাদ সাহেবকে অতিথি হিসেবে আনা হবেই।
১৯৬৭ সাল থেকে ঢাকার ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
তাবলিগের একাংশের মুরুব্বি ও ভারতের মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দুই পক্ষ দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন।
একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা, অপরটির নেতৃত্বে আছেন আলমী শুরাপন্থি বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা।