জুলাই ৩, ২০২৪

এবারের বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি এসেছিলেন আইপিএলের দুর্দান্ত ফর্মকে সঙ্গে নিয়ে। ওপেনার পজিশনটাও তাকে দেয়া হয়েছিলো সে কারণেই। কিন্তু আসরে কোহলিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি সে অর্থে। ফাইনালের দিনে দরকার ছিল নিজেকে ফেরানোর। কোহলি ঠিকই নিজেকে ফিরে পেলেন। বড় ম্যাচের খেলোয়াড় কোহলি আবারও বোঝালেন কেন তিনিই প্রজন্মের সেরা ব্যাটার। ৫৯ বলে ৭৬ রান করে নিজের দলকে ঠিকই নিয়ে গিয়েছেন বড় স্কোরের কাছে।

ম্যাচের আগে রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন এই মাঠে ১৭০ রানই যথেষ্ট। তার দল সেটা করেছে একদম ঠিকঠাকভাবে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত শেষ পর্যন্ত গেল ১৭৬ পর্যন্ত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ফিফটির সঙ্গে অক্ষর প্যাটেলের ৪৭ আর শিভাম দুবের ১৬ বলে ২৭ রান ভারতকে দিলো জয়ের শক্ত পুঁজি।

তবে বড় স্কোরের জন্য কিছুটা বাড়তি প্রশংসা পাবেন অক্ষর প্যাটেল। এবারের আসরে তিনি ছিলেন ভারতের বাজির কালো ঘোড়া। পুরো বিশ্বকাপে যখনই ভারত দল বিপদে পড়েছে, তখনই অক্ষরকে আগেভাগে নামিয়েছিলেন ভারত কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ইনিংস মেরামতের কাজে অক্ষরের ওপরে আস্থা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। সেটা আরও একবার হাজির হলো ফাইনালের মঞ্চে। আর অক্ষরও প্রমাণ করলেন নিজেকে। যার বিশ্বকাপের সেরা একাদশে থাকা নিয়েই কিছুটা প্রশ্ন ছিল, সেই অক্ষরই দলকে বাঁচালেন আরেকদফায়।

শুরুর ৫ ওভারেই ভারত হারিয়েছিল ৩ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতে কেশব মহারাজের ওভারে দুই উইকেট। আর দুই ওভার বিরতি দিয়ে ৩ রানে ফিরলেন সূর্যকুমার যাদব। সেখানেই ভারতের ব্যাটিং ইউনিটের ভরাডুবি দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু বিরাট কোহলি আর অক্ষর প্যাটেল যেন ছিলেন ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনায়। দুজনের ব্যাট থেকে এলো ৫৪ বলে ৭২ রানের কার্যকরী এক জুটি।

বার্বাডোজে অক্ষর খেললেন মনে রাখার মতোই ঝকঝকে এক ইনিংস। কুইন্টন ডি ককের থ্রোতে রানআউট হওয়ার আগে ৩১ বলে করলেন ৪৭ রান। শিভাম দুবের জন্য মঞ্চ তৈরি করেই রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। কোহলিও ততক্ষণে ছুটছিলেন ফিফটির পানে। দুবে কোহলির সঙ্গে করলেন ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি। কোহলি পেলেন আসরের প্রথম ফিফটি।

ফিফটির পরেই কোহলি হলেন আরও বেশি বিধ্বংসী। ইনিংসের একটা পর্যায়ে টানা ৩৭ বল বাউন্ডারির দেখা পাননি কোহলি। ৪৮ বলে আসে তার পঞ্চাশ রান। এরপরেই খেললেন নিজের চেনা রূপে। ৫০ থেকে ৭৬ যেতে খেললেন মোটে ৮ বল। আউটও হয়েছিলেন সেই বড় শট খেলার তাগিদ থেকে। মার্কো জানসেনের বলে কাগিসো রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে থামে তার ইনিংস।

কোহলির উইকেটের পর খুব একটা বাকি ছিল না ইনিংসের। ভারতও সেটা খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি। ভারতের ইনিংসের শেষ ১৩ বলে আসলো ১৩ রান। ৭ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারত পেল ১৭৬ রানের পুঁজি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *