এবারের বিশ্বকাপের
আসরের অপরাজিত দল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারসাম্যপূর্ণ যেমন তেমনি বিধ্বংসীও। শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে আফগানদের থেকে যোজন এগিয়ে প্রোটিয়ারা। শুধু বিপক্ষে ছিল পূর্ব ইতিহাস। পূর্বে কখনও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। এমনকি সর্বশেষ ৯ নকআউট ম্যাচের ৮টিতে হারায় চোকার্স অপবাদ ঠেসে যায় দলটির পিঠে।
আফগানিস্তানকে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট করে ও ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ওই চোকার্স অপবাদ ঘুচিয়েছে এইডেন মার্করামের দল। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেছে। আইসিসির টুর্নামেন্টে প্রথমবার ফাইনালে পা রেখে ইতিহাস গড়েছে।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামের উইকেট ধীর ও বল নিচু হয়ে আসে। সময় গড়ালে তা আরও ধীর হয়। অল্প পুঁজি নিয়ে এই মাঠে কিউইদের আটকে দিয়েছিল আফগানরা। ওই সুখস্মৃতি মাথায় রেখে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে মার্কো ইয়ানসেনের তোপে ও তাবরেজ শামসির ঘূর্ণিতে ১১.৫ ওভারে অলআউট হয় তারা।
যার শুরুটা হয় ইয়ানসেনের প্রথম ওভারেই। দারুণ আসর কাটানো রহমানুল্লাহ গুরবাজ শূন্য করে ফিরে যান। এরপর ১২ রানের জুটি দেন ইব্রাহিম জাদরান ও গুলবাদিন নাঈব। ওটাই ইনিংসের দ্বিতীয় সেরা জুটি। দলের রান ২০ হতেই ৪ উইকেট হারায় আফগানরা। একে একে ফিরে যান গুলবাদিন (৯), ইব্রাহিম (২) ও মোহাম্মদ নবী (০)। ২৩ রানে পঞ্চম ও ২৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় প্রথমবার সেমিতে ওঠা আফগানরা। নাঙ্গিয়ালিয়া করোটি (২) আজমতুল্লাহ (১০) আউট হন। ২২ রানের একটা জুটি হলেও দাঁড়াতে পারেননি করিম জানাত (৮) ও রশিদ খান (৮)।
জবাব দিতে নেমে মাত্র ৮.৫ ওভারে জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও ব্যাটিংয়ে একমাত্র ধাক্কাটা তারা শুরুতেই খেলেছিল। দলের ৫ রানে আউট হন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। পরের সময়টা ওপেনার রেজা হেনড্রিকস ও অধিনায়ক মার্করাম সহজে পাড়ি দিয়েছেন। হেনড্রিকস ২৫ বলে ২৯ ও মার্করাম ২১ বলে ২৩ রান করেন।
প্রোটিয়াদের হয়ে বাঁ-হাতি লেগ স্পিনার তাবরেজ শামসি মাত্র ১.৫ ওভার অর্থাৎ ১১ বল করে ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ইয়ানসেন ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। এছাড়া পেসার রাবাদা ও নরকিয়া দুটি করে উইকেট নেন। দক্ষিণ আফ্রিকা আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ফাইনাল খেলতে নামবে। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের জয়ী দল হবে তাদের প্রতিপক্ষ।