দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভয়ভীতি থাকলেও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে। নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ আছে। ভোট পড়া নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। গতকাল মঙ্গলবার বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দলকে এসব কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বৈঠকে দলের নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অন্যদিকে দুই সদস্যের ইইউ প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন ডেভিড ওয়ার্ন।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল আগামী নির্বাচন কেমন হবে, কতটুকু সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে এবং এ ব্যাপারে সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চেয়েছে। নির্বাচনে ২৭টির মতো দলের অংশগ্রহণ এবং ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে তারা ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। আগামী সংসদে বিরোধী দল কে হবে, সে বিষয়েও প্রতিনিধি দলটি জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, নির্বাচনের ফলই বলে দেবে বিরোধী দল কে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, প্রতিনিধি দলটি জানতে চেয়েছে– শুধু কি আওয়ামী লীগের লোকজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে? আমরা বলেছি, বেশির ভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের হলেও সবাই নন। এই নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, বিএনপি কেন এলো না, নির্বাচনবিরোধীরা বড় কোনো সমস্যা করতে পারে কিনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতটা প্রস্তুত– এসব নিয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বলেছি– নির্বাচন নিয়ে ভয়ভীতি থাকলেও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে। এ নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ আছে। সারাদেশের ভোটারদের মধ্যে যে স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে, তাতে ভোটারের টার্ন-আউট নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। ইইউ প্রতিনিধিরা সহিংসতার বিষয়েও কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, বিএনপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জবাব সহিংসতার মাধ্যমে দিচ্ছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করায় দলীয় সদস্যপদ বহিষ্কার ও স্থগিতাদেশ নিয়ে তিনি বলেন, দলীয় যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে পারেন। এখানে দোষের কিছু নেই। কাউকে বহিষ্কার বা সদস্যপদ স্থগিত করার অধিকার জেলা-উপজেলা কমিটির নেই।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।