প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে পরিধান করেছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। আজ রোববার (৭ জুলাই) গণভবনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান তাকে র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনকে এয়ার মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে বিমান বাহিনী প্রধানের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। আগামী ১১ জুন থেকে তিন বছরের জন্য হাসান মাহমুদ খাঁনকে এ দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে এয়ার মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন হাসান মাহমুদ খাঁন। আগামী ১১ জুন অবসরে যাচ্ছেন এয়ার মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান।
১৯৮৬ সালের ১৫ জুন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জিডি (পি) শাখায় কমিশন পাওয়া হাসান মাহমুদ খাঁন তার কর্মজীবনে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন কমান্ড, স্টাফ ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ বাহিনীর নেতৃত্ব পাওয়ার আগে তিনি সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিকল্পনা) ও সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া বিমান সদরের বিমান পরিচালন পরিদপ্তর, গোয়েন্দা পরিদপ্তর ও পরিকল্পনা পরিদপ্তর এর পরিচালক, প্রধান পরিদর্শক, বিমান বাহিনী একাডেমির ডেপুটি কমান্ড্যান্ট এবং চিফ ইন্সট্রাক্টর, মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের ডেপুটি কমান্ড্যান্টও ছিলেন তিনি।
তার আগে ৮ স্কোয়াড্রন, ট্রেনিং উইং, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর ফ্লাইং উইং এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান মাহমুদ খাঁন। বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক, ঘাঁটি কক্সবাজার ও ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর এয়ার অধিনায়কের দায়িত্বও সামলে এসেছেন।
পেশাগত জীবনে দক্ষতা ও ভূমিকার স্বীকৃতিকে ‘বিমান বাহিনী পদক’, ‘গৌরবোজ্জ্বল উড্ডয়ন পদক’ ‘অসামান্য সেবা পদক’ এবং তিন বার বিমান বাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র পেয়েছেন হাসান মাহমুদ খাঁন।
১৯৬৬ সালের ২০ জুন ঢাকার জন্মগ্রহণ করেন হাসান মাহমুদ খাঁন। বিমান বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি পড়েছেন নটরডেম কলেছে। পরে মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন।
এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এবং তার স্ত্রী সালেহা খান এক কন্যা এবং এক পুত্র সন্তানের জনক-জননী।