সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে দলের অবস্থান সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ আগাগোড়া যে অবস্থান নিয়ে থাকে সেই অবস্থানে অব্যাহত থাকবে। নতুন করে কিছু বলার নেই। সময় এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৬১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিকে নখের আঘাতে জর্জরিত করছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আজকে আমরা অসম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী চেতনা এক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে নতুন রাষ্ট্রপতি ভূমিকা রাখবেন কি-না? বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন সংশয়ের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রপতি নতুন এসেছেন। আমরা মনে করি রাষ্ট্রপতি পরিবর্তন যে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক উপায়ে হয়েছে এটা দেশে বিরল ঘটনা। তিনি মনে প্রাণে একজন বাঙালি। গণতন্ত্র, দেশপ্রেম, সবই তার চেতনায় আছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। তাঁর সম্পর্কে আমি এটুকু বলতে চাই, বাকিটা তার কর্মের দ্বারা তিনি প্রমাণ করবেন।
শেরে বাংলা একে ফজলুল হক একজন খাঁটি বাঙালি ছিলেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফজলুল হক ছিলেন অবিভক্ত মূখ্যমন্ত্রী। তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের উত্থাপক ছিলেন। তার সবচেয়ে বড় অবদান এ দেশের কৃষক সমাজের জন্য, প্রজাতন্ত্র আইন পাস করেছেন। ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে বাংলার ঋণে জর্জরিত কৃষক সমাজকে স্বস্তি দিয়ে গেছেন। তার এই অবদান বাংলার শ্রমজীবী কৃষক এখনো ভুলতে পারে না। শেরে বাংলাকে মনে পড়লে তার অবদানের কথা মনে পড়ে। তিনি কিছু কথা বলে গেছেন যেটা আমরা স্মরণ করতে পারি। শেরে বাংলাকে আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী নেতা, মানবতাবাদী নেতা হিসেবে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক চেতনায় তিনি কাজ করে গেছেন।