বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে অভিযোগ তদন্তে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১১ জুন) বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে ভোক্তাদের অতিরিক্ত চার্জ ও গোপন চার্জ দিতে হয় এমন অভিযোগ করছেন অনেক গ্রাহক। এ নিয়ে নানা বিষয়ে ওঠা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করতেই এই রুল জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সময় রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন, এ এম জামিউল হক ফয়সাল, আব্দুল্লাহ আল হাদী, কামরুল হাসান রিগ্যান, মো. জাকির হায়দার।
রিটের বিবাদী জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ও ডিপিডিসির কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত ২১ মে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কার করার দাবি জানিয়ে রিটের বিবাদীদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে এর আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা রয়েছে। প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু সত্ত্বেও ভোক্তাদের অতিরিক্ত চার্জ ও গোপন চার্জ দিতে হয়; বিদ্যুতের বিল আদায় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এতে ভোক্তারা নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়গুলার পর্যালোচনা ও সংস্কার প্রয়োজন।
নোটিশে আরও বলা হয়, সমস্যাগুলো ব্যাপক অসন্তোষ ও আর্থিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।