নভেম্বর ১৫, ২০২৪

ভারতের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন বিজয়ী জোট এনডিএকে এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য ভারতের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপি। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়াকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা এনডিএ, ইন্ডিয়া জোট ও ভারতের জনগণকে অভিনন্দন জানাই। এটি গণতন্ত্রের অনুপ্রেরণা ও উদাহরণ।
ভারতের নির্বাচন কমিশন ৫৪৩টি লোকসভার আসনের মধ্যে ৫৪২টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে বিজেপি ২৪০টি আসন এবং কংগ্রেস ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে শিগগিরই একটি নতুন সরকার গঠিত হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক গভীর সহযোগিতা ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, এটা ভারতীয় জনগণের পছন্দ। একই জোট ক্ষমতায় থাকবে। আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এবং রক্ত ও পারস্পরিক ত্যাগের বন্ধনে আবদ্ধ। তিনি বলেন, ভারতের বিরোধী দলগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে, যা বাংলাদেশে দেখা যায় না।

পানি বণ্টন-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কাজ করে এবং তারা অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে। হাছান বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এই বিশেষ সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কারো তুলনা হয় না।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতের সহানুভূতি পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সাংবাদিকরা মূলত গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের ব্যাপারে হাছান মাহমুদের মন্তব্য জানতে চান। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া যথাযথ আইনগতভাবে হবে।

পরে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার ব্যাপারে তথ্য দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, নেপাল থেকে বাংলাদেশ জলবিদ্যুৎ আনছে। ১০ বছর আগে এটা নিয়ে অনেকের কনসার্ন ছিল, যেটি আজ বাস্তবতা। আগামী দিনেও এমন অনেক বাস্তবতার বিষয়গুলো দেখা যাবে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতবর্ষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমরা রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। অপর দিকে চীন আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। উভয় দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। এছাড়া এক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরেক দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...