জানুয়ারি ১১, ২০২৫

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ  বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক যুগ আগে করা রাজধানীর গুলশান থানার নাশকতার মামলার এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া।

মামলায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) মো. হানিফকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ২১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে আসামি এম এ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও আলমগীর বিশ্বাস ওরফে রাজুকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ৪২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। তারা হলেন, এম এ কাউয়ুম, মো. দুলাল, তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশিদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহাবুব।

এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর এ মামলায় রায়ের জন্য আজকের তারিখ ঠিক করেন আদালত।

জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা এবং পুলিশের উপর হামলা করেন আসামিরা। এছাড়া, রাস্তার চলাচলরত গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...