ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় যুবদলের চার নেতাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) হারুন অর রশীদ।

আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

গ্রেফতার চার জন হলো, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সেক্রেটারি মো. দুলু (৪৪), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মো. জয়নাল আবেদীন (৩৮), মো. আব্বাস আলী (৩২) ও মো. আব্দুল লতিফ বিপ্লব (৩৩)।

ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেফতার হাওয়া নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে নাশকতার প্রমাণ। বাসে আগুন দেয়ার পর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিএনপি নেতাদের ম্যাসেজ দিয়ে কনফার্ম করা হয়েছে। এমনটাই নির্দেশনা দেয়া আছে তাদের।

অবরোধ আছে, এটা এখন আর কেউ মনে হচ্ছে না। কারণ রাস্তায় যথেষ্ট গাড়ি আছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে কমলাপুর থেকে শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে আমদানিকৃত ১০০০ কেজি চিনিসহ তিন চোরা কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশীয় নামীদামী কোম্পানির বস্তায় ভরে বিক্রি করা হত এসব চিনি। প্রতিদিন ৩০০-৫০০ বস্তা ভারতীয় চিনি অবৈধভাবে দেশে আসছে বলেও জানান।

রোববার (২৬ নভেম্বর) রাত ৭টা ৪৮ মিনিটে কাজলা এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।

নির্বাচন ঠেকাতে ও সরকার পতনের আন্দোলনের নামে গত ২৮ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এতে ১৭ দিনের কর্মসূচিতে যানবাহন কম চলাচল করায় আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায়।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সময় সংবাদকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের ১৭ দিনে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে পরিবহন খাতে ক্ষতি ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

আর হরতাল-অবরোধের কারণে যানবাহন কম চলাচল করায় এর আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সর্বমোট গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে ২৫৫টি।

এদিকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে ফের দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ দফায় রোববার থেকে (২৬ ও ২৭ নভেম্বর) ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করছে তারা। সড়ক, নৌ ও রেলপথে এ অবরোধ কর্মসূচি পালনের কথা জানান তিনি।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে প্রথমে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। এরপর আবার ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। ১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফা, ১৫ ও ১৭ নভেম্বর পঞ্চম দফা, এবং ২২ ও ২৩ নভেম্বর ষষ্ঠ দফায় অবরোধ কর্মসচি পালন করে দলটি। চলছে সপ্তম দফা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...