অস্ট্রেলিয়া সফরে পুরোপুরি ব্যর্থ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। পার্থ টেস্টে ২১ ও ১৪ রানে আউট হন বাবর, সেই টেস্টে পাকিস্তান হারে ৩৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মেলবোর্নে দুই ইনিংসে ১ ও ও ৪১ রানে ফেরেন বাবার আজম। সেই টেস্টে পাকিস্তান হারে ৭৯ রানে।
চলতি সিডনি টেস্টে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমেও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি বাবর আজম। প্রথম ইনিংসে ফেরেন মাত্র ২৬ রানে। অস্ট্রেলিয়ায় চলতি সফরে ৫ ইনিংসে বাবরের সংগ্রহ মাত্র ১০৩ রান।
সিডনিতে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। ৪৭ রানে হারায় প্রথমসারির ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট। শূন্য রানে ফেরেন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও সায়েম আইয়ুব। সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ফেরেন ২৬ রানে।
দলীয় ৯৬ রানের মধ্যে ফেরেন সৌদ শাকিল (৫) ও শান মাসুদ (৩৫)।
৯৬ রানে ৫ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর পাকিস্তানের হাল ধরেন মিডলঅর্ডার ৩ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান, আগা সালমান ও আমির জামিল। ষষ্ঠ উইকেটে আগা সালমানকে সঙ্গে নিয়ে ১০১ বলে ৯৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১০৩ বলে ১০টি চার আর ২টি ছক্কায় ৮৮ রান করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন রিজয়ান। কিন্তু দলীয় ১৯০ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
এরপর আগা সালমানের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে ফেরেন সাজিদ খান। ৬ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২২০ রান। এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেটের পতন। ১৫ রানে ফেরেন সাজিদ খান। ৬৭ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করে ফেরেন আগা সালমান। শূন্যরানে ফেরেন হাসান আলী।
শেষ উইকেটে মির হামজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৩৩ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন আমির জামিল। তিনি ৯৭ বলে ৯টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৮২ রান করে ফেরেন। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৭৭.১ ওভারে ৩১৩ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্যাট কামিন্স ৬১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন।