সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিপিএলের এবারের আসরেও দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে। শুধু রিজওয়ান নয় বিপিএলের আগামী মৌসুমে খেলতে পারেন বাবর আজমও। এমন খবর প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস নিউজ।
আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের এবারের আসর। একই সময়ে সাউথ আফ্রিকায় এসএ টি-টোয়েন্টি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি। যেখানে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা থাকায় ক্রিকেটাররা তুলনামূলক বেশি টাকা পেয়ে থাকেন। যা তাদের বিপিএলের তুলনায় সেখানে খেলতে বেশি আগ্রহী করে তোলে।
কদিন আগে মোটে অঙ্কের টাকায় তিন বছরের জন্য শাহীন শাহ আফ্রিদিকে দলে নিয়েছে ডেজার্ভ ভাইপার্স। আগামী তিন মৌসুম তাদের হয়ে খেলবেন পাকিস্তানের বাঁহাতি এই পেসার। একই লিগে মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব পেয়েছিলেন বাবর। লিগের শুভেচ্ছাদূত ও ক্রিকেটার হিসেবে তিন বছরের জন্য বাবরকে ১৫ কোটি পাকিস্তানি রুপি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
যদিও সেই প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস নিউজ জানিয়েছেন, সেই সময়ে নির্দিষ্ট কিছু ম্যাচের জন্য বিপিএলে খেলতে আসতে পারেন বাবর। তার সঙ্গে দেখা যেতে পারে উইকেটকিপার রিজওয়ানকেও। যদিও এখনও কিছুই চূড়ান্ত নয়।
বিপিএলে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের খেলাটা একেবারে নতুন নয়। বিপিএলের সবশেষ মৌসুমে খেলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন শোয়েব মালিক, হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ নওয়াজ। কুমিল্লাতে রিজওয়ানের সঙ্গে ছিলেন খুশদিল শাহ, নাসিম শাহ, আবরার আহমেদ ও হাসান আলী।
ফরচুন বরিশালের হয়ে ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে বিপিএল মাতিয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র এবং হায়দার আলী। খুলনা টাইগার্সে দেখা গেছে ওয়াহাব রিয়াজ, আজম খান এবং আহমদ বাটকে। সিলেটের জার্সিতে খেলেছেন ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ ইরফান। আইএলটি-টোয়েন্টিতে খেলার অনুমতি থাকায় বিপিএলের এবারের আসরের তুলনায় পাকিস্তানের ক্রিকেটার কম দেখা যেতে পারে।