আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে মাসব্যাপী এই মেলার ২৯তম আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে। প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্টল নির্মাতারা। নির্দিষ্ট সময়ে স্টল নির্মাণ শেষ করতে দিনরাত এক করে কাজ করছেন কারিগর-শ্রমিকরাও।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরে স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চতুর্থবারের মতো বসছে বাণিজ্য মেলা। ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মেলা উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এবার মেলার প্রধান প্রবেশদ্বার তৈরি করা হয়েছে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের স্মৃতির আদলে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে থাকছে দেশি-বিদেশি ৩৬২ স্টল।
জানা গেছে, মেলা প্রাণবন্ত ও সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে আয়োজক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। মেলা প্রাঙ্গণে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাত শতাধিক পুলিশ। থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি গেটে থাকবেন ইজারাদারের স্বেচ্ছাসেবকরা।
প্রধান প্রবেশদ্বারের পূর্বপাশে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ কর্নার ও মূল ভবনের উত্তরে মুগ্ধ কর্নার। মূল ভবনের ভেতরে থাকবে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন। দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে তিনটি সিটিং জোন। ব্যাংক লেনদেনের জন্য থাকছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের একাধিক বুথ।
শিশুদের জন্য থাকছে ডিজিটাল শিশুপার্ক। মেলায় কোনোরকমের ঝামেলা এড়াতে থাকছে ২৩৪ সিসি ক্যামেরা ও পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার। তাৎক্ষণিক সেবা দেবে একাধিক পুলিশের টিম।
রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীবাসীর মেলায় আগমন নির্বিঘœ করতে অন্য বছরের মতো থাকছে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। মেলা শুরুর আগেই মালিকপক্ষকে পুরোপুরি নির্মিত স্টল বুঝিয়ে দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কারিগররা।