উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে করদাতাদের জন্য একটু স্বস্তির খবর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। তিনি আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপস্থাপিত বাজেটে করমুক্ত আয় সীমা বাড়ানোর এই প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য কোনো কর দিতে হয় না। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুমোদণন পেলে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কোনো কর দিতে হবে না।
সর্বশেষ ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালে বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল।
ব্যক্তি শ্রেণীর সাধারণ করদাতাদের পাশাপাশি নারী করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ বয়সের পুরুষ করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমাও বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এই সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
একইভাবে গেজেটভূক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকায় উ্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে ঘোষিত বাজেটে।
করমুক্ত আয়-সীমার পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরে করের হারেও কোনো পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়নি ঘোষিত বাজেটে। ফলে চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও নিচে উল্লেখ করা হারে কর দিতে হবে
বিভিন্ন ধাপের কর হারের মতো ন্যুনতম করের পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে আগামী বাজেটে।করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বের আয়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ এলাকাভেদে নিম্ন রূপভাবে বিন্যস্ত করা আছে অর্থবছরের বাজেটে।