জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে। বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেটের মূল স্লোগান সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার।
দুদকের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৮৫ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে ১৫৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাঁড়ায়। আগামী বাজেটে দুদকের পরিচালন খাতে ১৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে সরকার ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকার দুর্নীতি প্রতিরোধ ও জনগণের ভোগন্তি হ্রাসে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমকে পূণাঙ্গভাবে অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে জানিয়ে বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এ লক্ষ্যে ডিজিটাল আর্কাইভস, ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব এবং ইন্টিভেস্টিগেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইপিএমএস) চালু করা হয়েছে।
পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমাজের সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে দেশের প্রতিটি মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫০৪টি ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ‘গণশুনানি’ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবিষৎ প্রজন্মের মধ্যে সততা চর্চা প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বিক্রেতাবিহীন ৬ হাজার ৬৩৮টি ‘সততা স্টোর’ চালু করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।