নভেম্বর ১৫, ২০২৪

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম নিপুণ চাকমা। তিনি ইউপিডিএফের সদস্য বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে বোধিপুর এলাকায় একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন নিপুণ চাকমাসহ কয়েকজন ইপিডিএফকর্মী। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সেখানে এসে ব্রাশফায়ার করলে ঘটনাস্থলেই নিপুন চাকমা চেগা নামের এক সদস্যের মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাহাড়ের আরেক সশস্ত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস, এমএন লারমা) দায়ী করেছে ইউপিডিএফ। তবে এই হত্যাকাণ্ডের দায় অস্বীকার করেছে জেএসএস।

ইউপিডিএফ (প্রসীত) দলের বঙ্গলতলী ইউনিয়নের সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা বলেন, জেএসএস সদস্যরা বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর এলাকায় ব্রাশফায়ার করে আমাদের একজন কর্মীকে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রোববার (২৫ জানুয়ারি) বাঘাইছড়ি উপজেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালন করার ঘোষণা দিয়েছে ইউপিডিএফ।

জেএসএস এম এন লারমা দলের উপজেলা সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এমএন লারমা দল কোনোভাবেই জড়িত নয়। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এটা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, এই ধরনের ঘটনার কথা আমরা শুনেছি তবে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। গতকাল সারারাত আমরা তল্লাশি চালিয়েছি। আজ সকাল থেকেও আমরা তল্লাশি শুরু করেছি। তবে এখন পর্যন্ত আমরা তেমন কিছু পাইনি। নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে বাকিটা বলতে পারব।

উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফের দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে একই উপায়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় জেএসএসের সন্তু লারমা দলকে দায়ী করে ইউপিডিএফ। পরে নিহত দীপায়ন চাকমার স্ত্রী এশিয়া চাকমা বাদী হয়ে সাজেক থানায় মামলা করলেও এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...