সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

বাংলাদেশকে রাশিয়ার পরীক্ষিত বন্ধু বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রূপপুরে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন পুতিন।

এর আগে রূপপুরে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেন, বাংলাদেশ আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। গত বছরে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী ছিল। শেখ হাসিনা বাবার রেখে যাওয়া কাজ সম্মানের সঙ্গে অব্যাহত রাখছেন।

এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ঈশ্বরদীর প্ল্যান্ট সাইটে চলমান এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি আরও যুক্ত আছেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি। এছাড়া উপস্থিত আছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভও।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালানটি আসে। এরপর তা কঠোর নিরাপত্তাবলয়ের মধ্য দিয়ে নেওয়া হয় রূপপুরে।

দেশের সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।

সরকার আশা করছে, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ও দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে চালু হবে। প্রকল্পটিতে ৭ হাজার পেশাদারসহ ৩০ হাজার কর্মী কাজ করছেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে পারমাণবিক ক্লাবে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। কারণ এটি কার্বন নিঃসরণ হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। একই সময়ে এটি ফ্ল্যাশের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমিয়ে দেবে।

রাশিয়ান ঠিকাদার হিসাবে রোসাটম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে।

ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট অনুসারে পরমাণু শক্তি ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, ইউক্রেন, জার্মানি, জাপান, স্পেন, সুইডেন, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, ভারত, চেক প্রজাতন্ত্র, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, বুলগেরিয়া, পাকিস্তান, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, রোমানিয়া, আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলারুশ, স্লোভেনিয়া, নেদারল্যান্ডস, ইরান ও আর্মেনিয়া।

একবার পারমাণবিক জ্বালানী পাওয়ার প্ল্যান্টের চুল্লিতে দেওয়া হলে এক বছরের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। এর পরে ফের জ্বালানী দিতে হয়।

২০২১ সালের অক্টোবরে ইউনিটের কাঠামোর মধ্যে চুল্লি স্থাপনের মাধ্যমে রূপপুর ইউনিট-১ প্রায় সম্পন্ন হয়। এটি এআইইএ’র মান অনুযায়ী স্থাপন করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপন করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *