বাংলাদেশ কোনো ধরনের ‘প্রক্সি ওয়ারে’ যুক্ত হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই।
এ সময় তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় বার্ষিক ইন্টারন্যাশনাল পিস উইক উদযাপনের আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাবেক রাষ্ট্রদূতদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার বিসিএস (এফএ) অ্যাম্বাসেডর্স (এওফা) আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
‘প্রমোটিং এ কালচার অব পিস’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রদূত আহমদ তারিক করিম।
প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন পিএসসি সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন এবং রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শমসের মবিন চৌধুরী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে এ ধরনের সম্মেলন আয়োজন করা খুবই প্রয়োজন। নাগরিকদের রক্ষা এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে শান্তি বিরাজমান রাখতে আমাদের অবশ্যই প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করতে হবে।
এই ইস্যুতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমরা ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক পিস সম্মেলনের আয়োজন করেছিলাম। এ বছর আমরা পিস ডে উদযাপন করেছি। আমি আশা করবো জাতিসংঘ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো বিশ্বজুড়ে জনসচেতনতা বাড়াতে বার্ষিক ইন্টারন্যাশনাল পিস উইক উদযাপন করবে।
২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি বিরাজমান থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বিশ্ব পলিসি, কৌশলগত ইস্যুও গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান সময়ে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। বৈশ্বিক শক্তিগুলো এ ইস্যুতে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছে না। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘের সেক্রেটারি অনেক সময় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন।
মুন্সি ফয়েজ আহমদ বলেন, আমাদের সামষ্টিক নেতৃত্ব দরকার। প্রমোটিং এ কালচার অব পিস এটি একটি আন্দোলন। এজন্য দীর্ঘমেয়াদি কর্মপ্রণালী থাকতে হবে। এজন্য নেতৃত্ব এবং সংগঠন দরকার। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিতে পারে বাংলাদেশ।