নভেম্বর ১৭, ২০২৪

বাংলাদেশ কিডনি প্রতিস্থাপনসহ জটিল সার্জারি পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ দেশ এখন কিডনি প্রতিস্থাপনসহ অনেক জটিল অপারেশন করতে সক্ষম।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মোঃ শরফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলটি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। সরকার জনগনকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, কিডনি প্রতিস্থাপন রোগী শামীমা আক্তার ও শবনম সুলতানা এবং কিডনি দাতা সারা ইসলামের মা। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল ক্লিনিক্যালি মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত কিডনি দুই রোগীর মধ্যে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। এটি ছিল দেশে প্রথম ক্যাডেভারিক কিডনি প্রতিস্থাপন। তারা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা ২০ বছর বয়সী রোগী সারা ইসলামের কাছ থেকে কিডনি নিয়েছিল। ১৮ জানুয়ারি বিকেলে তাকে ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করা হয়। সারার মা অপারেশনে সম্মতি দেয়ার পর কিডনি সংগ্রহ করা হয়।

জীবিত দাতাদের কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে শুরু হয়েছিল। কিন্তু মৃত রোগীর কিডনি নেয়া আইনত সীমাবদ্ধ ছিল। ২০১৮ সালে অঙ্গ দান আইনটি সংশোধিত হয়যা সংশ্লিষ্ট আত্মীয়দের সম্মতিতে মৃতদের কাছ থেকে অঙ্গ সংগ্রহের অনুমতি দেয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...