ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসর বসেছে ভারতে। আজ প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ক্রিকেটের এ বিশ্ব আসরে প্রথম খেলাতেই জয় ছিনিয়ে আনবে বাংলাদেশ– এমন প্রত্যাশা সব বয়সী মানুষের। সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে তারকারাও শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন দেশীয় খেলোয়াড়দের। একই সঙ্গে নিজেদের প্রত্যাশার কথা
জানিয়েছেন ।
জয়া আহসান বলেন ‘দেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে– এই স্বপ্ন চিরকালের। খেলাধুলাও এর বাইরে নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবারের বিশ্বকাপে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস। সত্যি বলতে কী, আমার প্রত্যাশার পরিধি দিন দিন বেড়েই চলছে। টাইগারদের হাতে উঠেছে বিশ্বকাপের ট্রফি– এমন স্বপ্ন রচনাও থেমে নেই। গত কয়েক বছরে আমরা বিশ্বের বড় বড় দলকে হারিয়েছি। বাছাই নয়, ভালো খেলে সরাসরি পৌঁছে গেছি বিশ্বকাপের মঞ্চে। তাহলে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন কেন দেখব না। টাইগাররা জ্বলে উঠবে, নিজেদের উজাড় করে দেবে প্রতিটি খেলায়; ছিনিয়ে আনবে কাঙ্ক্ষিত শিরোপা– এটাই মনেপ্রাণে চাওয়া’।
ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন : ‘কারা বড় দল, কারা ছোট, কোন দল বিশ্বকাপ জেতার দাবিদার– এসব নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে, চলবেই। আমি সেসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। যেতে চাই না তর্কবিতর্কে। শুধু বলতে চাই, বিশ্বমঞ্চে দেশের সাফল্যই আমার একমাত্র চাওয়া। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসরে সাফল্য অর্জনের মধ্য দিয়ে ইতিহাস রচনা করুক– এই কামনা করি সব সময়। বীর বাঙালি জাতি সহজে হার মানবে, লড়াইবিহীন মাঠ ছাড়বে– এটা কখনও মনে হয় না। যে জয় আমাদের আনন্দের সাগরে ভাসাবে, জাতি হিসেবে গর্ব করার সুযোগ এনে দেবে, সেই বিজয়গাথা রচনার জন্য প্রহর গুনছি’।
একই বিষয়ে মাহফুজ আহমেদ বলেন : ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে– এটাই আমার বিশ্বাস। অভিজ্ঞ আর তরুণদের নিয়ে গড়া দলটি বুক চিতিয়ে লড়াই করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভালো লাগত এই দলে তামিম ইকবাল থাকলে। তামিমকে এবার খুব মিস করব। এর পরও আমার মনে হয় না, তামিমের না থাকাটা বড় কোনো প্রভাব ফেলবে। ইনজুরিসহ বিভিন্ন কারণে কমবেশি সব দলই তাদের সেরা কোনো না কোনো খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপ আসরে পাচ্ছে না। সেসব বিষয় মেনে নিয়েই মাঠে নামতে হয়। খেলতে হয় আত্মবিশ্বাস আর দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে। সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরা ক্রিকেটারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলও তাদের সেরা খেলাটা খেলবে এবং বিজয়ের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবে– এ আশা নিয়েই প্রতিটি খেলা দেখব’।
বিদ্যা সিনহা মিম বলেন : ‘বাংলার দামাল ছেলেরা এই বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস লিখবে বলেই আমি মনে করি। আমরা যখন বিশ্বের প্রতিটি দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি, তাহলে শিরোপা কেন অধরা থাকবে? এই প্রশ্ন তো শুধু আমার নয়, অগণিত মানুষের। স্বপ্ন দেখি, বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে হাসিমুখে দেশে ফিরবে টাইগাররা। এ স্বপ্ন যেন সত্যি হয়, মনেপ্রাণে এটাই চাওয়া’।
নুসরাত ফারিয়া শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন :
‘আমার ভালোবাসার আরেক নাম ক্রিকেট। ভালো খেলুক, মন্দ খেলুক, সব সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে আছি। সেই দল যখন বিশ্বকাপের জন্য খেলছে, তখন তো কোনোভাবেই সাফল্য ছাড়া অন্য কিছু ভাবনায় আনতে চাই না। মনেপ্রাণে চাই, বিশ্বকাপ জয়ী দলের তালিকায় ‘বাংলাদেশ’ নাম যোগ হোক। দেশের প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য রইল অপরিসীম ভালোবাসা আর শুভকামনা’।