বাংলাদেশের টেলিকম খাতের বেস ট্রান্সসিভার স্টেশনগুলোতে (বিটিএস) ব্যবহারের জন্য লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটন। অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে চীন থেকে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির একটি বিপ্লব চলছে। ক্রমশ জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সোলার ফটোভোলটাইক ও বায়ুচালিত শক্তির মতো নবায়নযোগ্য শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে উন্নয়নের জন্য লিথিয়াম এনার্জি স্টোরেজ প্রযুক্তি প্রয়োজন অনস্বীকার্য। হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের মধ্যে আজকের চুক্তিটি এই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
উভয়পক্ষের এই সহযোগিতা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান তৈরি ও রফতানি পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের জনগণকে উপকৃত করবে বলেও জানান ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে চীন থেকে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।’
জানা যায়, এই চুক্তির আওতায় ওয়ালটন আগামী সাত মাসের মধ্যে টেলিকম লিথিয়াম ব্যাটারি বাংলাদেশে উৎপাদন ও বাজারজাত করবে। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ৮০ হাজার ব্যাটারি উৎপাদনে সক্ষম একটি অত্যাধুনিক ও সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রোডাকশন লাইন তৈরি করার পাশাপাশি সারা দেশে এই ব্যাটারির বিক্রি ও বিক্রয়-পরবর্তী সেবা পরিচালনা করবে। লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা, ডিজাইনের নির্দেশনা, কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে হুয়াওয়ে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, গ্রামীণফোনের টেকনোলজি ডিভিশনের টাওয়ার ইনফ্রার পরিচালক ও প্রধান মো. আব্দুর রায়হান প্রমুখ।