প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশে সফররত সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইস্যু ও বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিকে দেশে ফেরাতে আলোচনা হয়েছে। সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ অনেক খাতে একসঙ্গে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে চায়। বাংলাদেশও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়।
ঢাকা সফরের প্রথম দিন মঙ্গলবার রাতে গুলশানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর চিফ অফ স্টাফ ন্যাথানিয়াল হাফটসহ আরও তিন কর্মকর্তা।
সালমান এফ রহমান ছাড়াও নৈশভোজে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, তথ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আলী আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবাহান, ঢাকা স্কুল অব বিজনেসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ।
বিএনপির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আলী আরাফাত বলেন, রাজনীতি, হিউমান রাইটস নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। মূলত বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কাজ করতে চায় সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে নৈশভোজ শেষে সালমান এফ রহমানের বাসা ত্যাগ করেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। পরে সাংবাদিকদের মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় দুই দেশ সম্মত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন ডোনাল্ড লু। বিমানবন্দরে লু’কে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা বিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুই দফা ডোনাল্ড লু’র সফর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের চার মাস পর ফের ঢাকায় এলেন লু।