পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরের সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিল বাংলাদেশ। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলংকার বিপক্ষে জিতে পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বর পজিশনে না থাকতে পারলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবে না টাইগারা।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৩.৩ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়ায় ১০৫ বল আগেই ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
দলের জয়ে ৭৪ বলে ৮১ রান করেন ওপেনার ফখর জামান। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ৬৯ বলে করেন ৬৮ রান। তাদের জোড়া ফিফটিতে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পায় পাকিস্তান।
২০৫ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ফখর জামান ১২৭ বলে ১২৮ রান করেন।
এপরপর ৪১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৬৯ বলে ৯টি চার আর ২টি ছক্কায় ৬৮ রান করে মিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। বাবর আজমকে ৯ রানে ফেরান এই অলরাউন্ডার।
ইনিংসেরে শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করে যাওয়া ফখর জামানকেও সাজঘরে ফেরান মিরাজ। তার তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৭৪ বলে তিন চার আর ৭টি ছক্কায় ৮১ রান করে ফেরেন ফখর জামান।
১৬৯ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ইফতেখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ৩৬* রানের অনবদ্য জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
মঙ্গলবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ৩১তম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৬ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর দলীয় ২৩ রানে সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের উইকেটও হারায় বাংলাদেশ।
দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ে হাল ধরেন ওপেনার লিটন কুমার দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে ৮৯ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়েন তারা। ২০.৫ ওভারে দলীয় ১০২ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। তার আগে ৬৪ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৫ রান করে ফেরেন লিটন দাস।
এরপর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৫৯ বলে মাত্র ২৮ রানের জুটি গড়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে ৭০ বলে করেন ৫৬ রান।
৬৪ বলে চার বাউন্ডারিতে ৪৩ রান করে ফেরেন সাকিব। ৩০ বলে ২৫ রান করেন মিরাজ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান যখন আউট হন তখন বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪৩.৩ ওভারে ২০৪ রান।
পাকিস্তানের হয়ে ৯ ওভারে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৮.১ ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ৮ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন হারিস রউফ.