বাংলার ভোট প্রচারে ফের মোদীর অস্ত্র রোহিঙ্গা ইস্যু। রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গ তুলে এর আগে একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে এমনটাই দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
লোকসভা ভোটের আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ কার্যকর করেছে মোদী সরকার। প্রথম থেকেই সিএএ বিরোধিতার পথে হেঁটেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস আসলে সিএএ নিয়ে আমজনতাকে ভুল বোঝাচ্ছে, এদিন এমনই দাবি করেন মোদী। তাঁর মতে, ‘‘নাগরিকত্ব দেয় যে সিএএ, তার বিরোধিতা করছে তৃণমূল। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। মিথ্যা প্রচার করছে।”
একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর দাবি, “তৃণমূল দেশভাগের শিকার মানুষদের নাগরিকত্ব দিতে চায় না তৃণমূল। অথচ বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের বাংলার জনবিন্যাস বদলে দেওয়ার এবং আইন ভাঙার অনুমতি দিয়ে রেখেছে। নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বৃদ্ধির জন্য বাংলার ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে।”
অন্যদিকে, এদিন ফের একবার সন্দেশখালির কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে প্রশ্ন তোলেন, মহিলাদের ওপর অত্যাচারের অনুমতি কারা দিয়েছিল? সেই তৃণমূলকে সাজা দিতে হবে বলে বার্তা দেন মোদী। তাঁর এও বক্তব্য, ”বাংলায় অত্যাচার এখন ফুলটাইম ব্যবসা। এখানে রাজনৈতিক হত্যা হয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপরও হামলা হয়। বাংলার সব মানুষ বলছে, তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতক, ভ্রষ্টাচার, পরিবারবাদ।”
বালুরঘাটের পর মঙ্গলবার রায়গঞ্জে দ্বিতীয় সভা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রায়গঞ্জ আসনে গত বার বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁকে কেন্দ্রে মন্ত্রীও করা হয়। তবে এবার দেবশ্রীকে দক্ষিণ কলকাতা আসনে সরিয়ে এই কেন্দ্রে কার্তিক পালকে টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার তাঁরই সমর্থনে প্রচার করতে গিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী।