২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দলীয় ১৪ রানে শারমিন আক্তার ফেরেন দীপ্তি শর্মার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। পরের ওভারে মুর্শিদা খাতুনকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মেঘনা সিং। ১৯ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ে ফারজানা হক পিঙ্কির সঙ্গে হাল ধরেন লতা মন্ডল। তবে ২৪ রানের জুটি গড়ে লতা ফেরেন ৯ রানে দেবিকা বিদ্যাকে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে। ৩ ব্যাটার ফিরে গেলে রিতু মনিকে নিয়ে দলের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যান ফারজানা। তাদের ব্যাটে দলীয় ৫০ পার করে বাংলাদেশ। এরপর তাদের ব্যাটে দেখেশুনে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ভারতের বোলারদের কঠিন পরীক্ষা নীয়ে দুজন নিয়মিত স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন। রিতু একপ্রান্তে দেখে শুনে খেললেও নিয়মিত রান যোগ করতে থাকেন পিঙ্কি। তাদের ব্যাটে দলীয় রান পৌঁছে যায় ১০০’র ঘরে।
দলকে ১০০’র ঘরে নিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য জেমিমাহ রড্রিগেজের বলে ফেরেন রিতু। ২৭ রানে তিনি ফিরলে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান তুলতে আরও ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। স্টাম্পিংয়ে ৪৭ রান করে বিদায় নেন পিঙ্কি। এরপর বাংলাদেশের পরাজয় হয়ে দাঁড়ায় শুধু সময়ের ব্যাপার। জেমিমাহ রড্রিগেজের নিয়মিত উইকেট শিকারে ১২০ রানে গুঁটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১০৬ থেকে ১২০ রানে স্বাগতিকরা হারায় ৬ উইকেট। ৩ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন জেমিমাহ।
যদিও এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দলকে। ফলে বাংলাদেশকে ১০৮ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত।
এ দিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মারুফা আক্তার। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়ে ভেতরে আসা ডেলিভারিতে বোল্ড হন প্রিয়া পুনিয়া। বাংলাদেশকে পরের উইকেটও এনে দেন মারুফা। এবার অবশ্য ফিল্ডারের ভূমিকায়। তার বলে সোজা খেলেছিলেন স্মৃতি মান্ধানা। মারুফার হাত ছুয়ে বল লাগে স্টাম্পে। নন স্ট্রাইকে থাকা ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ক্রিজে ছিলেন না, ৩ চারে ২৩ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর হারমানপ্রিত কৌরের সঙ্গে ২৮ রান যোগ করে আউট হয়ে যান স্মৃতিও।
দারুণ এক ডেলেভারিতে তাকে ফেরান তরুণ লেগ স্পিনার রাবেয়া খাতুন। স্মৃতি এগিয়ে আসলেও লেংথ বুঝতে পারেননি, সুইং করে বল লাগে স্টাম্পে। ৪ চারে ৫৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন স্মৃতি। জেমিয়াহ নিয়ে এরপর দলকে এগিয়ে নেন হারমানপ্রিত। ৯১ বলে তাদের ৭৩ রানের জুটি অবশ্য ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হন হারমান, তখন বিচ্ছেদ হয় তাদের। মাঝে এক উইকেট বিরতি দিয়ে অবশ্য তারা আবারও জুটি গড়েন। ৩৬ বলে ২৫ রান করে হারলিন দেওল আউট হয়ে গেলে ফের ব্যাটিংয়ে নামেন হারমানপ্রিত। পরের জুটিতে ১৫ বলে ২৫ রান করেন দুজন। তাদের এই ঝড়ো জুটিতে রানও বড় হয় ভারতের। ৯ চারে ৭৮ বলে ৮৬ রান করে নাহিদার বলে জেমাইমা স্টাম্পিং হলে ভাঙে এই জুটি। ৩ চারে ৮৮ বলে ৫২ রান করেন হারমানপ্রিত। বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার।