বলিভিয়ায় সামরিক ‘অভ্যুত্থান চেষ্টার’ ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রাজধানী লাপাজে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান অভিযান চালিয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার লাপাজের ঐতিহাসিক প্লাজা মুরিলো স্কয়ারে জড়ো হতে থাকেন সশস্ত্র সৈন্যরা। তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। এছাড়া সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে অবস্থান নেয়। এ ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী প্রধানকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলিভিয়ার পুলিশ এ অভ্যুত্থান চেষ্টার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। বিদ্রোহী সামরিক অফিসার ইনচার্জ জেনারেল হুয়ান জোসে জুনিগা বলেছিলেন, যে তিনি ‘গণতন্ত্রের পুনর্গঠন’ করতে চান। তিনি এখন গ্রেপ্তার। পরে সৈন্যরা সেখান থেকে প্রত্যাহার শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
এটিকে ‘অভ্যুত্থান চেষ্টা’ উল্লেখ করে এ প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইস আর্চি। তিনি জনগণকে গণতন্ত্রের পক্ষে সংগঠিত ও সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা বলিভিয়ার জীবন কেড়ে নেওয়ার জন্য আবারও অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার অনুমতি দিতে পারি না। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভেতরে টেলিভিশন বার্তায় এ কথা বলেন।
তিনি নতুন সামরিক কমান্ডার নিয়োগের ঘোষণা দেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের প্রকাশ্যে সমালোচনা করার পর জেনারেল জুনিগাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মোরালেস এ অভ্যুত্থান চেষ্টার নিন্দা জানিয়ে জেনারেল জুনিগা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির আইন বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, এর একটি ফৌজদারি তদন্ত হবে।