বর্তমানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্যে ভেজাল, খাবারে অনিয়ম, সঠিক পুষ্টি না পাওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই চ্যালেঞ্জের পথে বড় বাধা। বর্ষাকালে তার সঙ্গে যোগ হয় আরও অনেক রোগ। এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়েই চলেছে। অথচ ব্যস্ত জীবনে যেন নিজের জন্যই কোনো সময় নেই! অথচ নিজেকে ভালো রাখা সবার আগে জরুরি। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি দুর্বল হয় তবে সেই ফাঁক গলে শরীরে ঢুকে পড়তে পারে সব ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া। এরপর আপনার অসুস্থ হওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার।
ডেঙ্গু, টাইফয়েডের মতো অসুখের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। কিন্তু সবাই যখন হাসি-আনন্দে সময় কাটাচ্ছে, আপনি তখন অসুখে ধুঁকছেন। এর বড় কারণ দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অসুখের সঙ্গে লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত শক্তি পেতে চাইলে সচেতন হতে হবে। নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো রাখতে হবে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এজন্য খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়ে।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
সবার আগেই খেয়াল করুন আপনার প্রতিদিনের রুটিনের দিকে। আপনি সারাদিনে নিজেকে ভালো রাখার জন্য কী কী করছেন? যদি দেখেন যে সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে ওঠেনি তাহলে আজই সতর্ক হোন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য আপনাকে সবার আগে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে ফিরতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। সেইসঙ্গে জাঙ্কফুড, অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাসও বাদ দিন। আপনার স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই সুস্থতার পথে আপনাকে অনেকটা এগিয়ে রাখবে।
প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শরীরের জন্য কোন ভিটামিনগুলো বেশি জরুরি সেদিকে খেয়াল করুন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে ভিটামিন সি, বি৬ এবং ভিটামিন ই। বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জরুরি। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখুন নিয়মিত তালিকায়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সহজ হবে।
ফাংশনাল ফুড
অনেক সময় শুধু খাবার খাওয়াই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন পড়ে বাড়তি যত্নের। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ফাংশনাল ফুড। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি। এদিকে ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি-র তুলনায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। কারকিউমিন সমৃদ্ধ ফাংশনাল ফুড খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে দ্রুতই। এ ধরনের ফুডের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তাই নির্ভয়েই খাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর নিরাপদ উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন ফাংশনাল ফুড। কারকুমা অর্গানিক ফাংশনাল ফুড ব্র্যান্ড নিয়ে এসেছে কারকুমা ইমিউন প্লাস। এটি নিয়মিত সেবন করার মাধ্যমে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সহজ হবে।
মানসিক চাপ দূরে রাখুন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মানসিক চাপমুক্ত থাকা জরুরি। কেউ যদি দীর্ঘ সময় ধরে অবসাদে ভোগে তাহলে তার প্রভাব পড়ে শরীর ও মনে। ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা। তখন যেকোনো অসুখ তাকে সহজেই ঘায়েল করে ফেলে। তাই সব সময় নির্ভার থাকার চেষ্টা করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। শখের কাজ করুন। সব দুশ্চিন্তা দূরে সরিয়ে মন ভালো রাখার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমকে অবহেলা করা যাবে না। ঘুম মানে সময় নষ্ট নয় বরং এটি নিজেকে ভালো রাখার অন্যতম উপায়। ঘুমের সময়টাতে আমাদের শরীরে এক ধরনের প্রোটিন নিঃসরণ হয়। এর ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন সাত-আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। এটুকু নিশ্চিত করার চেষ্টা করুন।