বৈরী আবহাওয়া ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে বন্ধ থাকা লঞ্চ প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর চালু হয়েছে। বরিশাল বিভাগে ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তবে বড় সংকেত না থাকায় বরিশাল-ঢাকা এবং বরিশালের অভ্যন্তরীণ সব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
বরিশাল নগরীর কাউনিয়া সাধুর বটতলা এলাকার আখি আক্তার বলেন, খালের পাশেই আমাদের ঘর। দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে খালের পানি উঠে ঘর তলিয়ে গেছে। এটি বস্তি হওয়ায় সকলেই তাদের টয়লেটের পাইপ খালে দিয়ে রাখে। এখন সেই পানি সবার ঘরে উঠে পড়েছে।
আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, আমরা দুই দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছি। আশপাশের সব এলাকার সড়কে পানি উঠেছে। এমনকি বরিশালের সদর রোডেও পানি উঠেছে।
বটতলা এলাকার ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, আমাদের বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। দোকান বাধ্য হয়ে বন্ধ রেখেছি। ক্রেতাও আসতে পারে না আর আমরাও দোকানে যেতে পারি না।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বৈরী আবহাওয়ার জন্য শনিবার অভ্যন্তরীণ রুটের ছোট লঞ্চগুলোর চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে আজকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চগুলো প্রতিদিনই চলেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে বরিশাল নদী বন্দরকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাব আজকের মধ্যে কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।