সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪

স্বাভাবিক নিয়মেই আমাদের বয়স বাড়ে, সেই ছাপ পড়ে শরীরে। তবে বয়স বাড়ার এই প্রক্রিয়া ধীর করতে যেমন সাহায্য করে আমাদের জীবনধারা, তেমনি কিছু খাবার ও অভ্যাস দ্রুত বুড়িয়ে দিতে পারে আমাদের। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে ত্বক ও শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে যেতে পারে দ্রুত।

জেনে নিন তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

*যত বেশি সোডা এবং এনার্জি ড্রিংক পান করবেন টিস্যুতে কোষের বয়স তত দ্রুত হবে। এসব পানীয়তে অন্যান্য পানীয়ের তুলনায় অনেক বেশি ক্যালোরি এবং চিনি থাকে। মুখের ব্যাকটেরিয়ার সাথে মিলিত হয়ে, সেই চিনি অ্যাসিড গঠন করে যা দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করে। ওজন বৃদ্ধি, স্ট্রোক এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও বাড়ে এসব পানীয় নিয়মিত খেলে।

*অতিরিক্ত মসলাদার খাবার ত্বকের বয়স বাড়িতে দিতে পারে আপনার। মসলা শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, এতে ঘাম হয় বেশি। ঘাম ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সাথে মিশে ব্রণের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

*অতিরিক্ত লবণ খাবেন না খাবারে। কাঁচা লবণ খাওয়াও অনুচিত। এতে তৃষ্ণা বাড়ে ও চাপ পড়ে কিডনির ওপর। এতে করে আবার শরীরের যেসব অংশ (যেমন মুখের ত্বক) অতিরিক্ত পানি চলে যায়। যার কারণে চেহারার মধ্যে এসে পড়তে পারে ঝুলে পড়া ভাব।

*সসেজের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস কেবল বয়সই বাড়ায় না, নানা ধরনের রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিস হতে পারে নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে।

*ডুবো তেলে ভাজা খাবার দ্রুত ত্বক বুড়িয়ে দিতে পারে। এ ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে ফ্রি র্যাডিকেল কোষের অন্যান্য অণুগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়।

*ভাজা খাবার ছাড়াও বেক করা খাবার বেশি খাওয়া ঠিক নয়। কুকিজ এবং কেকের মতো বেকড খাবারে ধমনী-জমাট করা চর্বি বেশি থাকে। পাশাপাশি চিনি তো থাকেই। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং দাঁতের ক্ষয়ের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায় বেকড খাবার।

*মস্তিষ্ক উদ্দীপিত করে ক্যাফেইন। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ আমাদের ডিহাইড্রেটেড করে দেয়। এতে ত্বকে বলিরেখা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

*অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। অতিমাত্রায় ঝাল বা অতিরিক্ত মসলা খেতে থাকলে রক্তনালী খানিকটা ফুলে যায়। এরপরই বেড়ে যায় শরীরের ভেতরকার তাপমাত্রা। এতে ঘামও হয় বেশি। আর সেই ঘাম ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়া করে ত্বকে দাগ ফেলে দেয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *