ফ্লোর প্রাইসের (শেয়ারের দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা ডেকেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টায় আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের মাল্টিপারপাস হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় ডিএসই ব্রোকাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের ডাকা হয়েছে।
এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএসএস’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এ সময় উপস্থিত থাকবেন বিএসএস:র কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে ডিএসই ব্রোকাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে। ফ্লোর প্রাইসের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
গত বছর বিএসইসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো ফ্লো প্রাইস বহাল রাখা। বৈশ্বিক সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন রোধে প্রথমবার ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়, যা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের ১৭ জুলাই। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় সব শেয়ারের দরে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে সংস্থাটি। পরবর্তীতে ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ১৬৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিদিন একটি-দুটি শেয়ার কেনাবেচার বিপরীতে ১ শতাংশ হারে দর কমতে থাকায় চলতি বছরের গত ১ মার্চ তৃতীয় দফায় ফের ১৬৭ শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস ফিরিয়ে আনে বিএসইসি, যা এখনও বহাল আছে। ফ্লোর প্রাইস নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে তা বহাল রেখেছে কমিশন। তবে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার কর নেওয়া হবে বলে ধারণা করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।