ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

বার্ষিক সার্ভিস চার্জ বা নবায়ন ফি না দেওয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১ লাখ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব বাতিল করা হয়েছে। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) এই বিও হিসাবগুলো বাতিল করেছে।

সিডিবিএলের তথ্য মতে, চলতি বছরের ৩০ জুন বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৪টি। এক মাস পর ৩০ জুলাই সেই হিসাব ৯৩ হাজার ২২৪টি কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫০টিতে।

বর্তমানে পুঁজিবাজারে সাড়ে ১৭ লাখ বিও হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে একটি করেও শেয়ার নেই এমন বিও হিসাবের সংখ্যা রয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ৩৩৩টি। এই বিও হিসাবগুলোও যেকোনো সময় বাতিল হতে পারে। তাতে পুঁজিবাজারে প্রকৃত বিও হিসাব সংখ্যা থাকবে প্রায় ১৪ লাখ।

সূত্র জানায়, বাতিল হওয়া এসব বিও হিসাবের মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ৬৯ হাজার ৩৫টি। গত ৩০ জুন পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৯৭টি। ৩১ জুলাই সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ৩৬২টি।

একই সময়ে নারী বিনিয়োগকারী বিও হিসাব বাতিল হয়েছে ২৩ হাজার ৭৮৭টি। ৩০ জুন নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ৫২ হাজার ৫৩২টি। ৩০ জুলাই কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৫টি।

এছাড়াও ৪০২টি কোম্পানির বিও হিসাব কমে ৩০ জুলাই দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৪৩টিতে। যা ৩০ জুন ছিল ১৬ হাজার ৮৪৫টিতে।

উল্লেখ্য, নিয়ম অনুসারে প্রতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদেরকে বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন ফি দিতে হয়। বিনিয়োগকারীকে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজে এই টাকা জমা দিতে হয়। এরপর ব্রোকার হাউজগুলো দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সিডিবিএলকে নবায়ন ফি অর্থাৎ নিষ্ক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টের তালিকা পাঠায়।

প্রতি বছরের মতো চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নবায়ন ফি নিয়েছে। এরপর সপ্তাহের শুরু থেকে সিডিবিএলকে নবায়ন ফি দেওয়ার তথ্য দিয়েছে। ব্রোকার হাউজ থেকে সিডিবিএলকে সেই তালিকা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গত ২৭ জুলাই। এই ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে দেওয়া তথ্য মতে, দেশে ১৭ লাখ ৬৭ হাজার বিওর নবায়ন ফি পেয়েছে সিডিবিএল। ফলে এই বিওকে রেখে বাকি ১ লাখ বিও অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দিয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...