

নিজ ভূমে পরাধীন ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বুধবার নিজ দল একে পার্টির (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সংসদীয় দলের সভায় তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাকে একঘরে করে রাখলেও আমি ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকব। খবর ডেইলি সাবাহর।
গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালালোর ঘটনায় ইসরাইল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চাষাছোলা সমালোচনা করে আসছেন এরদোগান।
হামাস যোদ্ধাদের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দেন এরদোগান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর তুরস্কের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল হামাস। এরদোগান বলেন, হামাসের পক্ষে কথা বলার কারণে আমাকে মূল্য দিতে হতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি, গোটা দুনিয়ার আসল সত্যিটা জানা উচিত।
‘আমি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লড়ব। তাদের পক্ষে কথা বলব। এমনকি যদি আমাকে একা করেও দেওয়া হয়।’
এরদোগান সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে হামাসের সঙ্গে, যারা গাজা উপত্যকা শাসন করছে। কিছু ইউরোপীয় দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো তুরস্ক হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে না।
এ প্রসঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা একমাত্র সাহসী জাতি যারা হামাসকে স্বাধীনতাকামী সংগঠন মনে করি। যারা হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন তকমা দিয়ে ইসরাইলের পক্ষে দাঁড়িয়েছে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, তুরস্ক সর্বদা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকবে। তাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে সমর্থন দেবে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় ৩৩৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৭৬ হাজার মানুষ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে ইসরাইল।