নভেম্বর ১৫, ২০২৪

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল জেলের বাইরে থাকলে রাজনৈতিক বিনিময় ভালো জমতো বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছে, তার খেসারত তাদের আরও অনেকদিন দিতে হবে।’

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুদেশের গণতন্ত্র যোজন যোজন দূরের ব্যাপার। দুনিয়ার কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক নেই। কিন্তু সেখানে সো-কল্ড তত্ত্বাবধায়ক ধরে রেখেছে। তাদের সঙ্গে পার্থক্য হলো আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশি শক্তি, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে মাতামাতি করে যেমন- ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয় নিয়ে আসে, এটা কিন্তু পাকিস্তানে নেই।’

প্রকাশ্যেই নির্বাচন ভালো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশটিতে নির্বাচনে সহিংসতা হয়েছে। ভোট কারচুপির অভিযোগ মিডিয়াতে আসতে শুরু করেছে। গতকাল ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আগেরদিন বেলুচিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে কয়েকডজন লোকের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ‘আমরা গণতন্ত্রের ট্রু ফরম অনুসরণ করি। আমাদের দেশে নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দল না এলেও কিন্তু নির্বাচন ফেয়ার করেছি। চোখে পড়ার মত তেমন সংঘাত সহিংসতা হয়নি। স্বাধীনতা পর যতগুলো ভালো নির্বাচন আমরা করেছি, তারমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন একটি।’

‘যারা গণতন্ত্রের সবক দেয় তারাও পারফেক্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়েই কতকিছু। আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

দলের সুদৃঢ় ঐক্যের দরকার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার কৌশলগত কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করেছে। ৬২ জন স্বতন্ত্র নির্বাচিত হয়েছেন। তারা আওয়ামী লীগের লোক। এখানে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে। মতবিরোধ-দ্বন্দ্ব হয়েছে। দলের অভ্যন্তরে এসব হানাহানি ও কোন্দলের অবসান ঘটিয়ে দলকে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করাই আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...