ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সংঘাত রূপ নিয়েছে যুদ্ধে। এরইমধ্যে গাজাকে পুরোপুরি অবরোধ করে ফেলেছে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকায় অনবরত হামলা চালাচ্ছে তাদের সামরিক বাহিনী। ক্রমাগত হামলার জেরে গাজায় বাস্তচ্যুত হয়েছে এক লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ এরও বেশি মানুষ।
জাতিসংঘ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ এরও বেশি মানুষ। বেশিরভাগ গাজার বাসিন্দা জাতিসংঘের স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় ৭৭০ জন নিহত ও চার হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৪০ জন শিশু ও ১২০ জন নারী। এ ছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ১৮ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে।
চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে ধ্বংসযজ্ঞ ও বর্বরতা চালিয়েছে তা আল-কাসাম এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীর হামলার ফলে সৃষ্ট ফলাফলকে প্রতিফলিত করে। অপরাধ ও জঙ্গীবাদের জন্য শত্রুদের এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।’
আকাশপথে এখনও ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রেখেছে হামাস। গাজা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইহুদি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেরসেবাতে এখনও সাইরেন বাজছে। সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শঙ্কার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। আর হামাসের ক্রিপ্টোক্যারেন্সি (গুপ্তমুদ্রা) অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
ইসরায়েলের পুলিশ বলছে, সাইবার ইউনিট অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতো হামাস।