পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার সৈয়দ আবেদ আলীসহ তার পরিবারের সদস্যদের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক চিঠিতে এ আদেশ দেয় বিএফআইইউ।
চিঠিতে সৈয়দ আবেদ আলী, তার স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী ও ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের সব ব্যাংক হিসাব ‘ফ্রিজ’ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ গ্রেপ্তার মো. আবু জাফর ও মালিবাগের কোচিং সেন্টার জ্যোতি কমার্শিয়াল সেন্টারের ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করা হয়েছে।
দুপুরের পরই বিএফআইইউয়ের এই চিঠি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। যেখানে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে চার ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের ওপর এই স্থিতাবস্থা জারি করে সংস্থাটি।
আদেশের ফলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই ব্যাংকগুলো থেকে কোনও অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর করা যাবে না। এর আগে দিনের শুরুতে আবেদ আলীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করে বিএফআইইউ।
সেখানে বলা হয়, এই নামে ব্যাংকে কোনও হিসাব পরিচালিত হলে সে সংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত বিএফআইইউকে জানাতে হবে। আবেদ আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইউএসএ রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্সের সব আর্থিক লেনদেনের তথ্যও চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।
এর আগে গত রোববার ‘বিসিএস প্রিলি–লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচার করে।
সেখানে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ক্যাডার ও নন–ক্যাডারসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলা হয়। তাতে আবেদ আলীর নামও আসে।
এ ঘটনায় করা মামলায় রবি ও সোমবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা করায়। গ্রেপ্তার হন আবেদ আলী ও তার ছেলে সিয়াম।
গ্রেপ্তার ১৭ জনের মধ্যে ছয়জনই পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের কাছ থেকে সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিপুল আলামত উদ্ধারের কথা জানায় সিআইডি।