নভেম্বর ৯, ২০২৪

চলতি বছরের প্রথম আট মাসে সবচেয়ে বেশি ভুয়া সংবাদের শিকার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে এসব ভুয়া খবর ছড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেল ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে মোট ৪৩টি ভুয়া খবর ছড়ানো হয়।

রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ এসব ভুয়া নিউজ শনাক্ত করে। তারা এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেশে ভুয়া খবরের একটি তালিকা তুলে ধরেছে। সেখানে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে ছড়ানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি ভুয়া নিউজ। আর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরে বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে প্রচার করা হয়েছে ১২টি খবর।

প্রতিবেদনে তুলে ধরা তালিকায় দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও বক্তব্য এডিট (সম্পাদনা) করে এবং প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন ভুয়া সংবাদ ছড়ানো হয়, যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছড়ানো ৪৩টি ভুল তথ্যের বেশির ভাগই বিরোধী পক্ষের তৈরি করা।

রিউমার স্ক্যানারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি (২৪৮) ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, যা মোট ভুল তথ্যের ২৩ শতাংশ।

রাজনৈতিক বিষয়ের বাইরেও আট মাসে আন্তজার্তিক বিষয়ে ২২৯টি, খেলার বিষয়ে ১২৩টি, জাতীয় বিষয়ে ১১৬টি, ধর্মীয় বিষয়ে ১১১টি, শিক্ষা বিষয়ে ৮১টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ৬৩টি, বিনোদন ও সাহিত্য বিষয়ে ৫০টি, আর্থিক প্রতারণা বিষয়ে ৪৪টি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে ১৭টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।

এ সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক (৪৩) ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে, যা মোট রাজনৈতিক ভুল তথ্যের ১৭ শতাংশ। এছাড়া, কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের বিষয়ে ২০টি, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিষয়ে ১৫টি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে ১২টি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিষয়ে ১০টি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিষয়ে ৮টি এবং গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিষয়ে ৭টি তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

এর বাইরে বাংলাদেশ পুলিশের বিষয়ে ১৪টি গুজব ছড়ানো হয়েছে। পুলিশের একক সদস্য হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি পাঁচটি (৫) ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। তাছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত ব্যক্তিত্ব নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ৭টি ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

এসব ভুল তথ্যের মধ্যে গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ফটোকার্ড ব্যবহার করে ৩৯টি ভুল তথ্য (নকল ফটোকার্ড ২৩টি, গণমাধ্যমের নাম ও লোগো ব্যবহারে ৯টি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম এডিট করে ভিন্ন শিরোনাম যুক্ত করে ৭টি) প্রচার করা হয়েছে।

 

 

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...